এবিএনএ : তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে আসিফকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। একইসঙ্গে আসিফের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে আসিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায়। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই কাজে ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তেজগাঁও থানায় সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। শফিক তুহিন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার ও অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি সঙ্গীতকর্ম সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন, আসিফ আকবর ‘আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের’ চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড, গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রিজি কনটেন্ট হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য করেন ও হুমকি দেন। পরদিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ তার প্রায় ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে গিয়ে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন- এমন কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উস্কানি দিয়েছেন। এতে তার মানহানি হয়েছে।